হেফাজতে ইসলামীর উপর অহেতুক রাগ দেখানোর কারন কি?

আল মুহাজির শাইখ "ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ"-এর মুজাহিদ ভাইদের নিকট অত্যন্ত বিনয়ের সহিত বলতে চাই, "হেফাযতে ইসলাম"-এর কোন বিষয় যদি আপনাদের নিকট অবোধগম্য http://sphotos-f.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-prn1/545969_400993560008614_1797467106_n.jpg থেকে যায় তাহলে মেহেরবানী করে "হেফাযতে ইসলাম"এর মাশায়েখদের সাথে কথা বললে ভালো হয়। কেননা, আপনারা খুব ভালো করেই জানেন যে, আল্লামা শাহ আহমাদ শফী হাফিযাহুল্লাহ সহ "হেফাযতে ইসলামী"র কোন নেতা ফেসবুক চর্চা করেন না। ফলে ফেসবুকে আপনাদের হাঁসফাঁসগুলো কেবল গীবতেরই অন্তর্ভুক্ত এবং মুসলিম ঐক্যের চরম পরিপন্থী। সবচে' বড় বিপদ সংকেত হলো, আল্লাহ তা'আলার মেহেরবানীতে আজকের লংমার্চ পরিপূর্ণ সফল হয়েছে এবং এতে বাতিলের ভীতে কম্পন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই বিজয় থেকে মুসলিমদেরকে আবারো বিচ্যুত করতে শয়তান মরণ-কামড় স্বরূপ কিছু একটা করতে চেষ্টা করছে। "ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ" এর মুজাহিদ ভাইসহ সকলকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। ( ইসলামের শ্ত্রুরা যেন কোন সুজোগ না নিতে পারে, অন্দোলন শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য )

মুল লিখাটি এ.কে.এম. ওয়াহিদুজ্জামান স্যারের লিখা, আমি সকলের উদ্যেশ্যে ব্লগে শেয়ার করলাম। আমি যখন বলি, ভারতে হিন্দুদের হাতে মুসলমান হত্যার কারণে বাংলাদেশে নিরীহ হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করবেন না, তখন ওরা আমাকে বলে ‘প্রগতিশীল’। আমি যখন বলি, মিয়ানমারে বৌদ্ধদের হাতে মুসলমান হত্যার কারণে বাংলাদেশে নিরীহ বৌদ্ধদের ওপর আক্রমণ করবেন না, তখন ওরা আমাকে বলে ‘মানবতাবাদী’। অথচ আমি যখন বলি জামায়াত-শিবির এবং হেফাজতে ইসলামীর ওপর আপনাদের রাগের কারণে কাকরাইল মসজিদের নিরীহ দাঁড়ি-টুপি ওয়ালা মুসলমানদের ওপর আক্রমণ করবেন না[১], তখন ওরা আমাকে বলে ‘রাজাকার’, ‘ছাগু’।

[১]

আমি এইখানটা তে একটু যোগ করতে চাই শুধু ততাবলীগ কেন?  হেফাজতে ইসলামীর কি অপরাধ? তারাও কি জামায়াত-শিবির উপর থাকা রাগের স্বীকার হচ্ছেন না?  হেফাজতে ইসলামীর মুল দাবীয় হচ্ছে ইসলাম বিদ্দেশীদের শাস্তি এটা ৯৫% মুসলমানের দাবী, এই কারনে  হেফাজতে ইসলামীর উপর অহেতুক রাগ দেখানোর কোন কারন আমি দেখি না। সকল ধর্মের মানুষই এই দাবী করতে পারে যে/যারা তার ধর্ম নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছে তাদের শাস্তি হোক তাই বলে কি তারা দেশ দ্রোহী হয়ে যাবে?

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যত মানুষ শহীদ হয়েছে তার সিংহভাগ মুসলমান, মুক্তিযোদ্ধাদের সিংহভাগ মুসলমান। সেই সময় মোট মুসলমান জনগোষ্ঠীর একটা অতি ক্ষুদ্র অংশ ছিলো রাজাকার। রাজা ত্রিদিব রায়ের কারণে কিছু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চাকমাও এমন রাজাকার ছিলো। মুক্তিযুদ্ধকালীন ছবিতে যেসব রাজাকারের ছবি দেখা যায়, তার মধ্যে দাঁড়ি-টুপি ওয়ালা রাজাকারের ছবি আমার চোখে পড়ে নাই[২,৩,৪]।

http://oi48.tinypic.com/2mcdd9s.jpg

[২,৩,৪]

বরং অনেক মুক্তিযোদ্ধার ছিলো মুখ ভর্তি দাড়ি। তারপরও বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সেই সময়ের একজন রাজাকারের ছবি বা প্রতিকৃতি তৈরীর সময় অবধারিতভাবে টুপি-দাঁড়ি ব্যবহার করা হয়[৫]। এর মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে পরিকল্পিতভাবে একটি ধর্মের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে- এই কাজটা কারা করছেন? কেন করছেন? উত্তর হচ্ছে- এই কাজটা ‘ঘৃণাজীবী’রা করছেন; কারন আমাদের এই মুসলমান প্রধান দেশে ধর্মীয় ঘৃণা ছড়িয়ে জীবন নির্বাহের জন্য ইসলাম ধর্মটাই সবচেয়ে উপযোগী।

[৫]

Related posts